শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
দেলোয়ারের টিউলিপ ফুটবে দেশের বিভিন্ন জেলায়

দেলোয়ারের টিউলিপ ফুটবে দেশের বিভিন্ন জেলায়

দেলোয়ারের টিউলিপ ফুটবে দেশের বিভিন্ন জেলায়
দেলোয়ারের টিউলিপ ফুটবে দেশের বিভিন্ন জেলায়

অনলাইন ডেস্ক: দেশে ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো টিউলিপ চাষ করে বেশ সাড়া ফেলেছিলেন ফুলচাষী ও কৃষি উদ্যোক্তা দেলোয়ার হোসেন। ফুলচাষি দেলোয়ারের বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায়। এবার তিনি টিউলিপ ফুল সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে চান। এরই ধারাবাহিকতায় নিজ উদ্যোগে সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া, রাজশাহী ও যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাগান তৈরি করছেন।

নেদারল্যান্ডের টিউলিপ দেশের মাটিতে প্রথমবার চাষ করার পর ফুল ফোটায় তা রীতিমতো হইচই ফেলে দেয়। টিউলিপ বাগান দেখতে দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ তার শ্রীপুরের বাড়িতে ভিড় জমান।

পর্যায়ক্রমে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেলোয়ারের বাগানে দ্বিতীয়বারের মতো টিউলিপ ফুল ফোটে। দেশের টিউলিপ নজর কেড়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। বাগান পরিদর্শন করেছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ কৃষি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

দেলোয়ার হোসেন জানান, দেশে টিউলিপের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। আমার বাগানে টিউলিপ ফোটার পর সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। সেই চিন্তা থেকে এবার নেদারল্যান্ড থেকে হলুদ, লাল, চার ধরনের পিংক, অরেঞ্জ, সাদা, পার্পেলসহ ৮-১০ ধরনের ৭০ হাজার টিউলিপের বীজ আমদানি করেছি। আমদানি করা টিউলিপের বীজ পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় ৪০ হাজার, রাজশাহীতে এক হাজার ও যশোরের গদখালিতে পাঁচ হাজার রোপণ করা হবে। এর মাধ্যমে বাগান তৈরি করে দেশে টিউলিপের এলাকা নির্ধারণে সম্ভাবতা যাচাই করা হবে। আমার সঙ্গে অনেক ছোট উদ্যোক্তা টিউলিপের বীজ সংগ্রহের জন্য যোগাযোগ করেছেন।

ফুলচাষী দেলোয়ার হোসেন তার প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়েছেন মৌমিতা ফ্লাওয়ারস। এর আগে জার্বেরা, চায়না গোলাপ ও বিদেশি বিভিন্ন ফুল চাষে সফল হয়েছেন তিনি। সফল ফুলচাষী হিসেবে ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক পান দেলোয়ার। দেশে প্রথমবারের মতো ভাইরাসমুক্ত সবজির চারা উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেন তিনি।

দেলোয়ার হোসেন আরো জানান, আমাদের দেশে ফুলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। চাহিদা মেটাতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ফুল আমদানি করা হয়। ফুল চাষে জড়িয়ে আছে কৃষি অর্থনীতির একটি অংশ। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ফুল চাষে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠলেও আমরা পিছিয়ে আছি। অর্থনীতি ও চাহিদার কথা চিন্তা করে বিভিন্ন বিদেশি ফুল দিয়ে আমার স্বপ্নযাত্রা শুরু হয়। অনেক প্রতিবন্ধকতা এসেছে তারপরও থেমে যাইনি। এরই মধ্যে পেয়ে যাই একটার পর একটা সফলতা। জার্বেরা, চায়না গোলাপের পর টিউলিপ ফুল ফুটিয়ে গত বছর নতুন সফলতা এসেছিল।

বিশ্বের মধ্যে নেদারল্যান্ডস টিউলিপ ফুল উৎপাদনকারী প্রধান দেশ। টিউলিপকে নিয়েই সেখানে গড়ে উঠেছে শিল্প। তাই দেশটি প্রতি বছর উদযাপন করে টিউলিপ উৎসব। ষড়ঋতুর বাংলাদেশে টিউলিপ ছিল স্বপ্ন। আর এই স্বপ্নই ধরা দেয় দেলোয়ারের কাছে।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply